‘মিতু হত্যা’ জড়িত সন্দেহে আসামি গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে শাহ জামান রবিন নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিনের বাড়ি লাকসামে।

আজ শনিবার সকালে নগরীর বায়েজিদ থানার শীতলঝর্ণা এলাকা থেকে রবিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার রবিন ঘটনার মূল আসামি হতে পারে বলেও ধারণা করছে পুলিশ।

দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার।

পুলিশ কমিশনার জানান, গ্রেপ্তারকৃত রবিন গত রোববার জিইসির মোড়ে মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনাস্থলে ছিলেন। তাঁর ফোনে কথা বলার বিষয়টি সিসিটিভি ফুটেজে রয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তারের পর এখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আগামীকাল রোববার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
Read More News

সংবাদ সম্মেলনে ইকবাল বাহার বলেন, সমূহ সম্ভাবনা আছে, আমরা খবরের ভিত্তিতেই ধরেছি। সে একজন মূল আসামি হতে পারে। এটি আরো এক দুই দিন গেলে হয়তো ফুটেজগুলো দেখে আমরা মিলিয়ে নিশ্চিত হতে পারব যে সে মূল আসামি কি না। তবে এখন পর্যন্ত আমরা আশাবাদী যে সে মূল আসামি হওয়ার সম্ভাবনাটাই বেশি।’

রবিনের বাড়ি লাকসাম বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান ইকবাল বাহার। এ ছাড়া শীতলঝর্না এলাকায় তাঁর অবস্থান সন্দেহজনক বলেও জানান তিনি।

এর আগে হাটহাজারীর ফরহাদাবাদ এলাকা থেকে আবু নসর গুন্নো নামে আরো একজনকে আটক করে পুলিশ। আগামীকাল গুন্নোর রিমান্ডের শুনানি হবে বলে জানান সিএমপি কমিশনার।

এ ছাড়া ঘটনার সময় সিসিটিভির ফুটেজে মোটর সাইকেলের পেছনে থাকা কালো রঙের মাইক্রোবাসটি আবুল খায়ের গ্রুপের কর্মকর্তাদের বহনকারী বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। প্রতিদিন কর্মকর্তাদের নিয়ে মাইক্রোবাসটি আবুল খায়ের গ্রুপের অফিসে যাতায়াত করে সেটি।

এদিকে মিতু হত্যার ঘটনায় আল কায়েদার দুঃখ প্রকাশ সম্পর্কে পুলিশ কমিশনার বলেন, দুটি কারণে তারা দুঃখ প্রকাশ করতে পারে। একটি হলো সমালোচনা থেকে বাঁচতে আর অন্যটি হয়তো তা সত্যিই সম্পৃক্ত নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *