বলিউডে চাঞ্চল্যকর মাদককাণ্ডে গ্রেফতার অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী ২৯ দিন পর জামিনে মুক্ত হয়েছেন। একে ‘সত্যের জয়’ বলে দাবি করছেন রিয়ার আইনজীবী। রিয়া জামিন পেলেও অবশ্য জামিন পাননি রিয়ার ভাই শৌভিক চক্রবর্তী। বম্বে হাইকোর্ট বুধবার তাঁর জামিনের আবেদনে শিলমোহর দিয়েছে।
এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর সাত ঘন্টার টানা ম্যারাথন সওয়াল-জবাবের পর রিয়া চক্রবর্তী ও শৌভিক চক্রবর্তীর জামিনের আবেদন স্থগিত রাখে বোম্বে হাইকোর্ট। সকাল ১১টা থেকে শুনানি শুরু হয়ে তা চলে সন্ধে ৬.৪৫ পর্যন্ত। জাস্টিস এসপি কোটওয়াল বেঞ্চে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানি চলে। রিয়া ও শৌভিক চক্রবর্তী ছাড়াও এদিন স্যামুয়েল মিরান্ডা, দীপেশ সাওয়ান্ত এবং আবদুল বাসিত পরিহারের জামিনের শুনানিও হয় বোম্বে হাইকোর্টে।
অন্যদিকে মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর মুম্বইয়ের NDPS আদালত রিয়া চক্রবর্তীর বিচার বিভাগীয় হেফাজত ২০ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে।
Read More News
জামিনের আর্জিতে রিয়া জানিয়েছেন, সুশান্ত নিজেই যে শুধু ড্রাগ নিতেন এমন নয়। বাড়ির বাকি সদস্যদেরও মাদক সংগ্রহ কার জন্য নির্দেশ দিতেন। রিয়া আরও জানান, ‘সুশান্ত বেঁচে থাকলে যদি ওঁর বিরুদ্ধে ড্রাগ নেওয়ার এই অভিযোগ উঠত তাহলে ওকেও জেলে যেতে হত। হয়তো ওর সাজা হত জামিনযোগ্য এবং খুব বেশি হলে এক বছরের কারাদন্ড হত। সুশান্ত আমার ভাইকেও সুযোগ পেয়ে ব্যবহার করেছে। নীরজকে প্রায়ই সুশান্ত অর্ডার করত ওঁর জন্য গাঁজা বানিয়ে রাখার জন্য। মৃত্যুর তিনদিন আগেও সুশান্তের নির্দেশে একটি বাক্সে গাঁজা ভরে রেখেছিল নীরজ। ওঁর মৃত্যুর পর বেডরুম থেকেই সেই খালি বাক্স পাওয়া যায়। এর থেকেই বোঝা যায়, নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য কীভাবে ও সবাইকে ব্যবহার করত’।