ঠিক দশ বছর আগে এই দিনে তিনি ভালোবাসায় বাঁধা পড়েছিলেন মনের মানুষের সঙ্গে। তারপর কেটে গিয়েছে কত দিন। মান-অভিমান করে একদিনের জন্যও বাপের বাড়ি চলে যাননি রান্নাঘর খ্যাত সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। এমনকী চ্যাটার্জী বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও যাননি। এখনও তাঁর মনে হয় স্বপ্নের মধ্যে দিয়ে চলেছেন। অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে পথ চলার একদশক পূর্ণ করে ফেললেন তিনি। আর তাই এই বিশেষ দিনে তাঁর প্রিয় অগ্নির জন্য লিখলেন মন খোলা চিঠি। সেখানেই তিনি লিখেছেন, ‘কত ঝগড়া, কত মান-অভিমান,কত ভুল বোঝাবুঝি কোনোটাই বাসি হতে দাওনি তুমি।
তবে, একটা মজার ব্যাপার হলো- তোমার আগে, তোমাকে ছাড়া যে একটা জীবন ছিলো, সেটা কেমন যেন ঝাপসা, সে পথে সব কিছু আবছায়ার মতো, দ্যাখো! আজও তোমার সামনে কথাগুলো বলার সাহস পাইনা বলে- সর্বসমক্ষে লিখে জানাতে হলো। সবাই বলবে-‘আদিখ্যেতা’।
Read More News
কাজের সূত্রেই অগ্নিদেবের সঙ্গে পরিচয় হয় উত্তর কলকাতার সুদীপার। একান্নবর্তী পরিবারে বেড়ে ওঠা সুদীপার। নিজেও বিভিন্ন সময়ে বলেছেন তাঁর বাপের বাড়ির কথা।
সুদীপার রান্না, কথার মধ্যে উত্তর কলকাতার একটা মিষ্টি টান রয়েছে। ২০১৮ তে জন্ম ছেলে আদিদেবের। আদিকে নিয়েই তাঁর দিনের সিংহভাগ সময় কেটে যায়। এছাড়াও তাঁর নিজের লেখালেখি পড়াশোনা তো আছেই। সেই সঙ্গে ফিরেছেন তাঁর রান্নার শোতেও। লকডাউনেও তিনি বেশ কয়েকবার ফেসবুক লাইভে এসেছেন। এছাড়াও সুদীপার বাড়িতে রয়েছে তিন তিনটে পোষ্য। তাঁদের জন্য প্রতিদিন নিজের হাতে খাবার বানান সুদীপা।
সুদীপা লিখেছেন, অগ্নি তাঁর এতকিছু সহ্য করে ভাবলেই তিনি অবাক হয়ে যান। তাই বর ঘুমোলে তিনি চেয়ে থাকেন, আর ভাবেন স্বপ্ন দেখছেন না তো? ছেলে সন্তান নিয়ে এই ভরপুর সংসার উপহার দেওয়ার জন্য অগ্নিদেবকে ধন্যবাদ দিতে ভোলেননা তিনি। সেই সঙ্গে জানান, সুদীপার স্বপ্নের তালিকা প্রায় সবটাই পূরণ করে ফেলেছেন অগ্নি। ‘বাকি খালি সান্তা ক্লজের সেই বাড়িটা দেখা’। এমন মজার লাইন লিখে নিজেও হেসে ফেললেন। আর তাই আজকের বিশেষ দিনে অগ্নিদেবকে তিনি বলতে চান, তোমার আগে কিছু ছিলো না,আর তোমার পরেও থাকবে না। আমার সবথেকে বেশি গর্ব হয় বলতে, যে আমি তোমার ‘বউ’, আর তুমি আমার ‘বর’। এছাড়া আর কিচ্ছু নেই। এভাবেই চলছে চ্যাটার্জী গিন্নির সংসার। এমনই হোক তাঁর স্বপ্নের পথচলা।