ভারত এবং চিনের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ মেটাতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার ট্যুইট করে এমনই জানিয়েছেন ট্রাম্প।
লাদাখে লালফৌজের আগ্রাসনের জেরে ভারত এবং চিনের মধ্যে যখন উত্তেজনার ক্রমশ বাড়ছে তখন ট্রাম্প তরফে মধ্যস্থতার এই প্রস্তাব এল।
উল্লেখ্য, এর আগে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদিও সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দিল্লি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ভারত এবং চিনের মধ্যে বর্তমানে ক্রমবর্ধমান সীমান্ত বিরোধের নিষ্পত্তি করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালনে প্রস্তুত ও আগ্রহী। এই ক্ষমতাও আমাদের আছে। এই বিষয়টি ভারত এবং চিন উভয় দেশকেই আমরা জানিয়েছি।
Read More News
যদিও ট্রাম্পের মধ্যস্থতা প্রস্তাব সম্পর্কে ভারত বা চিনের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
পূর্ব প্রতিশ্রুতি ভেঙে সীমান্তে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে চিন। লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কনট্রোল অবজ্ঞা করে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে সে দেশের সেনাবাহিনী। প্রতিরোধের মুখে দুই-এক স্থানে ভারতীয় জওয়ানদের সঙ্গে সংঘাতেও জড়িয়েছে তারা। পূর্ব লাদাখের লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কনট্রোলের আশপাশের এলাকায় ইতোমধ্যে দুই থেকে আড়াই হাজার সেনাকর্মী মোতায়েন করেছে চিন। একই সঙ্গে ওই এলাকায় বাড়ছে তাদের সেনা অস্থায়ী ছাউনির সংখ্যা।
এই হুমকির মুখে কড়া অবস্থান নিয়েছে ভারতও। LAC-তে কোনও ধরনের পরিবর্তনের চেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। স্ট্যাটিজিকভাবে সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে সেনা জওয়ানদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। এ ছাড়াও বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গেও পৃথকভাবে বৈঠক করেন নমো। ফলে বিগত ২০১৭ সালের ডোকলাম সংকটের পর ফের এক বড় সংঘাতের দিকে এগোচ্ছে দু’দেশ।