“জর্জ ফ্লয়েড” হত্যার বিচার চাইল স্ত্রী-পরিবার

জর্জ একজন ভালো মানুষ ছিলেন। আমি একজন ভালো মানুষকে হারালাম। একজন ভালো বাবাকে হারাল আমার সন্তান। তার জীবনের সবচেয়ে দামি জিনিসটা ছিনিয়ে নিয়েছে ওই পুলিশ অফিসার। এর সুবিচার করতেই হবে।

চোখের জলে আর ধরা কণ্ঠে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড হত্যার ন্যায়বিচার চাইলেন তার স্ত্রী রক্সি ওয়াশিংটন। ফ্লয়েড হত্যার আট দিন পর মঙ্গলবার মিনেসোটার মিনেপোলিস শহরে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে হাজির হয় তার পরিবার। ছয় বছর বয়সী মেয়ে জিয়ানাকে নিয়ে উপস্থিত হন স্ত্রী রক্সিও। শুধু নাম শুনে নয়, একজন ভালো বাবা ও ভালো মানুষ হিসেবে জর্জ ফ্লয়েডকে স্মরণ করার জন্য বিশ্ববাসীর প্র্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড হত্যা

জর্জ ফ্লয়েড। এই মুহূর্তে মার্কিন মুলুকসহ সারা বিশ্বের অন্যতম আলোচিত নাম। যে নাম উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে বহু মানুষের চোখের সামনে ভেসে উঠছে নিষ্ঠুর ও কদর্য এক ভিডিও। সে ভিডিওয় ফ্লয়েডকে মাটিতে ফেলে, হাঁটু দিয়ে দীর্ঘ সময় তার ঘাড় চেপে ধরে রেখে হত্যা করছে এক পুলিশ। নিদর্শন রাখছে আরও এক নৃশংস কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার। ফ্লয়েডের খুন সারা আমেরিকাকে পথে নামিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছে তার সঙ্গে ঘটা এ অন্যায়। এ খুন দেখে ভয়ে শিউরে উঠেছেন প্রতিটা মানুষ।
Read More News

তবে এ ভয়াবহতা দিয়ে ফ্লয়েডকে বিশ্ববাসীর কাছে স্মরণীয় করে রাখতে চান না তার পরিবারের সদস্যরা। তারা চান, মানুষ যেন ফ্লয়েডকে মনে রাখে একজন অসাধারণ বাবা হিসেবে, একজন ভালো মানুষ হিসেবে।

জর্জ ফ্লয়েডের জীবন আদতে ছিল খুব অনাড়ম্বর, কিন্তু সুখে-স্বস্তিতে ভরা। তার একমাত্র মেয়ে জিয়ানার বয়স মাত্র ছয় বছর। সে এখনও ঠিকমতো বুঝতেও পারেনি, আদতেই কী ভয়ানক ঘটনা ঘটে গেছে তার জীবনে। বাবা আর ফিরে আসবে না, এটুকুই হয়তো বুঝেছে এ কয়েক দিনে।

রক্সি বলেন, ছোট্ট জিয়ানার বাবা তো আর ফিরে আসবে না। জিয়ানার বড় হওয়া, লেখাপড়া শিখে মানুষ হওয়া কিছুই তার দেখা হবে না। পৃথিবীর সবকিছু চলবে, শুধু জিয়ানার জীবনে জর্জ আটকে থাকবে ছয়টি বছরে। জিয়ানার ছোট্ট আঙুল ধরে আর হাঁটা হবে না জর্জের। ওর কোনো সমস্যায় পাশে থাকবে না সে, পাহাড়ের মতো আগলে রাখবে না মেয়েকে। আর জিয়ানা, এ জীবনে তার বাবা আর থাকবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *