৫৩ বছরের তরুণী মাধুরী দীক্ষিতের শুভ জন্মদিন

আজ ১৫ মে, শুক্রবার বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতের ৫৩ তম জন্মদিন। প্রতি বছর জমকালো আয়োজনে পালিত হলেও এবার করোনার কারণে ঘরেই কাটবে এই সুপারস্টারের জন্মদিন।
বয়স বাড়ছে না কমছে সেটা মাধুরী দীক্ষিতের হাসি দেখে বোঝা যায় না। আর নিজেও বললেন, বয়সটা কেবলই তার কাছে সংখ্যার একটা হিসবে মাত্র। এ নিয়ে তিনি চিন্তিত নন।
Read More News

১৯৬৭ সালের ১৫ মে মুম্বাইতে জন্মগ্রহণ করেন মাধুরী দীক্ষিত। বাবা শংকর দীক্ষিত ও মা সঞ্চলতা। এক ভাই ও তিন বোনের মধ্যে মাধুরী ছিলেন সবার ছোট। ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করার খাতিরে বেশ ধার্মিক ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন তিনি।

মুম্বাইয়ের মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা মাধুরীর ছোটবেলা কেটেছে মুম্বাইতেই। তার স্কুল ছিল ডিভাইন চাইল্ড হাইস্কুল। পরবর্তীতে মুম্বাই ইউনিভার্সিটিতে মাইক্রোবায়োলজি বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। মাধুরী সবসময়ই ভালো ছাত্রী ছিলেন। তবে তিনি পড়ার ব্যাপারে ছিলেন বেশ ফাঁকিবাজ।

তিনি কথ্যক নাচ শিখতেন ছোটবেলা থেকেই। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে অনেক পুরস্কারও জিতে নিয়েছিলেন। নাচের জন্য তিনি স্কুলের শিক্ষক ও হেডমাস্টারদের কাছে খুব প্রিয় ছিলেন। এমনকি তিনি নাচের জন্য জাতীয় বৃত্তিও পেয়েছেন।

মাধুরী দীক্ষিত বহু মানুষের স্বপ্নসুন্দরী ৷ মাধুরীর অভিনয়, মিষ্টি স্বভাব, সুন্দর নাচ দশকের পর দশক মন ভরিয়েছে ৷ ১৯৮০-১৯৯০ সালে বক্সঅফিসে রাজত্ব করেছেন মাধুরী। ১৮ বছর বয়সে ‘অবোধ’ ছবিতে অভিনয় করে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু কাঙিক্ষত সাফল্য পান ১৯৮৮ সালে ‘তেজাব’ সিনেমায় অভিনয় করে। পরে ‘রাম-লক্ষ্মণ, ‘দিল’, ‘সাজন’, ‘বেটা’, ‘খলনায়ক’, ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’, ‘দিল তো পাগল হ্যায়’, ‘দেবদাসের’ মতো ব্লকবাস্টার ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি।

কখনও তিনি হাসিতে দর্শক মাতিয়েছেন কখনও দর্শকের মন মাতিয়েছেন নাচের তালে। দীর্ঘ তিন দশক ধরেই তিনি মুগ্ধ করে রেখেছেন উপমহাদেশীয় চলচ্চিত্রপ্রেমীদের।

চলচ্চিত্র নিয়ে এক অনুষ্ঠানে শাহরুখ খান মেয়েদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘তোমরা অনেক সুন্দরী হতে পারবে, কিন্তু কখনোই মাধুরী হতে যেও না। কারণ ওটা হওয়া যায় না। ওর মতো সৌন্দর্য ঈশ্বরের আশীর্বাদ।’

সেই সময়ে বলিউডের অন্যতম সেরা নায়ক সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়েও অনেক কানাঘুষো চলেছে ৷ ৯০-এর দশকে শুধু নয়, আজও সঞ্জয় ও মাধুরীর বিষয়ে নানা চর্চা হয়ে থাকে ৷ বিভিন্ন সূত্রের দাবি, একটা সময়ে সঞ্জয় দত্তও চেয়েছিলেন মাধুরীকে বিয়ে করতে ৷ কিন্তু সেই সময় সঞ্জয় বিবাহিত হওয়াতে দু’জনের বিয়েতে বাধা এসেছিল ৷

১৯৯৯ সালে মাধুরী কলোরাডোর ডেনেভারে কর্মরত ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওভাসকুলার সার্জন শ্রীরাম মাধব নেনে-কে বিয়ে করেন। ডাঃ নেনে মারাঠী ব্রাহ্মণ পরিবারের সন্তান। দীক্ষিতের দুই পুত্র রয়েছে।

মাধুরী জানিয়েছেন, লকডাউনে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। টুকটাক রান্না করছেন। কত্থক নাচের অনুশীলন করছেন। বইও পড়ছেন। মাধুরী বাড়িতেই জিম খুলেছেন, প্রতিদিনই শরীরচর্চা করেন তিনি ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *