সীমান্তে উত্তেজনা ‘যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে হবে’: প্রেসিডেন্ট জিংপিং

যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে হবে, চিনের সেনাবাহিনীকে এমনটাই নির্দেশ দিলেন প্রেসিডেন্ট জিংপিং। একদিকে যখন মহামারী গ্রাস করছে গোটা পৃথিবীকে, তার মধ্যেই এমনটা বললেন তিনি।

এক চিনা সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, মঙ্গলবার চিনের প্রেসিডেন্ট সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্যে বলেন যাতে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকা হয়। দেশকে সুরক্ষা দিতে সবরকমভাবে প্রস্তুত থাকতেও বলেন তিনি।

একদিকে ভরতের সঙ্গে সীমান্তে সংঘাত চকছে। অন্তত ১০০ তাঁবু বানিয়ে লাদাখের কাছে ঘাঁটি গেড়েছে চিনের সেনা। অন্যদিকে, ভাইরাস নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে বাকযুদ্ধ তুঙ্গে। এছাড়া হংকংয়ে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে যুদ্ধের বার্তা দিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট।
Read More News

চিনের কিছু সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে চিনের দ্বিতীয় এয়ারক্রাফট কেরিয়ার শিপইয়ার্ড ছেড়ে বেরচ্ছে। যদিও ওই ছবি বা ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করা হয়নি, তবে ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর ই জিংপিং এমন বার্তা দেওয়ার চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

এদিকে, চিন সীমান্তে পরিস্থিতি থমথমে। মঙ্গলবার এই বিষয়ে নয়াদিল্লিতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। এছাড়াও ছিলেন সংশ্লিষ্ট দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরা। ছিলেন তিন সেনার প্রধানরা। চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াতও অংশ নেন বৈঠকে। আরও একটি পৃথক বৈঠকে বিদেশ সচিবের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

সূত্রের খবর, স্থলসেনা, নৌবাহিনী ও বায়ুসেনা একসঙ্গে ইনপুট তৈরি করেছে। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হতে পারে সে ব্যাপারে আলোচনা করেছে তিন বাহিনীর অফিসাররা। মঙ্গলবার সকালের সাউথ ব্লকের সেই বৈঠকে ছিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত।

সেই বৈঠকের পর বিপিন রাওয়াত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে রিপোর্ট পেশ করেন। কী হতে পারে, না হতে পারে সেই বিষয়ে বিস্তীর্ণ রিপোর্ট দিয়েছে সেনাবাহিনী। কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, সেরকম কিছু সাজেশনও দেওয়া হয়েছে সরকারকে।

গত কয়েকদিন ধরে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের কাছে লাদাখে চোখে চোখ রেখে দাঁড়িয়ে আছে দুই দেশের সৈন্য। মূলত প্যাংগং তোসো লেক ও গালোয়ান ভ্যালির কাছে এই ঘটনা ঘটছে।

প্রাক্তন আর্মি কমান্ডার লেফট্যানেন্ট জেনারেল ডিএস হুদা বলেন, ‘এটা মোটেই স্বাভাবিক ঘটনা নয়। বিশেষ গালোয়ান ভ্যালিতে এভাবে চিনা সৈন্যের আনাগোনা বেশ উদ্বেগের বলে উল্লেখ করেছেন তিনি, কারণ ওই অঞ্চল নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কোনও বিতর্ক নেই। অথচ সেখানেই সৈন্য মোতায়েন করেছে চিন।

শুধু তাঁবু খাটিয়ে বসে থাকাই নয়, রীতিমত লাঠি, পাথর এনে অপেশাদার সেনার পরিচব দিয়েছে চিন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর দিকে কার্যত লাঠি নিয়ে এগিয়ে এসেছিল তারা। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এমনটাই জানা গিয়েছে।

তবে ভারতের দিক থেকে এমন কোনও ব্যবহার করা হয়নি। চিনের সৈন্যকে সরিয়ে দেওয়ার মত ঘটনাও ঘটেনি। প্রায় ৫০০০ সেনা নিয়ে চিন এসেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *