সারা দেশের ভার্চুয়াল আদালত ছিল ২৮ মে পর্যন্ত। করোনাভাইরাসের কারণে চালু হওয়া ভার্চুয়াল আদালতে সারা দেশে গত ১০ কার্যদিবসে ২০ হাজার ৯৩৮ জনের জামিন হয়েছে। আবেদন নিষ্পত্তি হয়েছে সর্বমোট ৩৩ হাজার ২৮৭টি। পরবর্তী সময়ে ভার্চুয়াল আদালত থাকবে কি না, তা আগামীকাল শনিবার ফুলকোর্ট সভায় সিদ্ধান্ত হবে।
করোনাভাইরাস মহামারি রোধ করতে আদালতের কার্যক্রম গত ২৬ মার্চ থেকে স্থগিত ছিল। তবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১১ মে আবার বিচারের কার্যক্রম শুরু হয়।
১০ মে হাইকোর্ট চলমান ছুটির দিনে জরুরি মামলাগুলো শুনানির জন্য তিনটি বেঞ্চ গঠন করে এবং জরুরি জামিন সম্পর্কিত মামলাগুলো শুনানির জন্য সংশ্লিষ্ট অধঃস্তন আদালতকে নির্দেশনা দেন।
আদালতকে ভিডিও কনফারেন্স এবং অন্যান্য ডিজিটাল সুবিধার মাধ্যমে বিচারের কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেওয়ার জন্য ওইদিন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ একটি অধ্যাদেশ জারি করেন। পরে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় একটি গেজেট প্রকাশ করে জানায় যে, এটি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।
Read More News
গত ৭ মে মন্ত্রিসভা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভিডিও কনফারেন্স ও অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে আদালতের বিচার প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদন করে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রত্যেক জেলার জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর এলাকার মহানগর দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, বিশেষ জজ আদালতে শুধু জামিন-সংক্রান্ত বিষয়গুলো ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার উদ্দেশ্যে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।