মহাকাশে রকেট পাঠিয়েছিল চিন। আর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেই রকেট আছড়ে পড়ল পৃথিবীতে। কয়েক দশকে এত বড় কোনও খণ্ড পৃথিবীর বুকে এভাবে আছড়ে পড়েনি। চিনের রকেট লং মার্চ ৫বি খসে পড়েছে গত ১১ মে। পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা ওই রকেটের গতি ছিল ঘণ্টায় কয়েক হাজার মাইল।
গত ৫ মে ওই রকেট লঞ্চ করা হয় চিনের হাইনান আইল্যান্ড থেকে। মহাকাশে মানুষ পাঠানোর আগে এটা ছিল মানব বিহীন একটা টেস্ট ফ্লাইট। আর এতে ছিল চিনের একটি নেক্সট জেনারেশন ক্যাপসুল। আর সেটাই মহাকাশে পৌঁছনোর আগে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এসে পড়ে আটলান্টিক সাগরে।
Read More News
গত ৩০ বছরে এত বড় কোনও খণ্দ এভাবে পৃথিবীর বুকে এসে পড়েনি। এর আগে ১৯৯১ সালে ৩৯ টনের স্যালুট ৭ এসে পড়েছিল পৃথিবীতে। এর আগে চিনেত তিয়াংগং ১ এসে পড়েছিল মাটিতে। তবে তার থেকেও এটি বেশি ওজনের।
নতুন এই রকেটের ওজন ২০ মেট্রিক টন। লম্বায় ১০০ ফুট ও ১৬ ফুট চওড়া। মাত্র ১৫ মিনিটে পৃথিবীতে ফিরে আসে এটি। নিউ ইয়র্ক শহরের উপর দিয়ে এসে পড়ে এটি। কর্মহীন হয়ে যাওয়া স্যাটেলাইট ও পুরনো রকেট আগেও এভাবে পৃথিবীতে এসে পড়েছে। কিন্তু এত বেশি ওজনের অবজেক্ট এভাবে পড়ার ঘটনা খুবই বিরল।
হার্ভার্ড—এর জ্যোতির্বিজ্ঞানী জোনাথন ম্যাকডয়েল টুইট করে জানিয়েছেন, ১৯৯১ সালে স্যালুয়েট-৭ নিয়ন্ত্রণ হারালে বিরাটাকার মহাকাশ জঞ্জাল পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে। তার পর আর কোনও রকেট থেকে ভেঙে পড়া এত বড় অংশ ধেয়ে আসেনি। চিনা রকেটের ভগ্নাবশেষ নিউ ইয়র্ক সিটিতে আছড়ে পড়লে বড় বিপদ ঘটতে পারত বলেও জানিয়েছেন তিনি। আমেরিকার একাধিক সংবাদমাধ্যমে চিনের এই নতুন কাণ্ড নিয়ে বিস্তর লেখালেখি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসকে ‘চিনা ভাইরাস’ বলে বহুবার তোপ দেগেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যার পালটা নিন্দা করেছে বেজিং। এমতাবস্থায় মার্কিন মুলুকে চিনা রকেটের আঘাত হলে, তার পরিণাম ভেবে শিউরে উঠছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।