বলিউডে অভিনয়-দক্ষতায় নিজের পাকা জায়গা করে নিয়েছেন তাপসী পান্নু। ইন্ডাস্ট্রির নতুন প্রজন্মের নায়িকাদের তালিকায় তাপসী বেশ জনপ্রিয়। একের পর এক ছকভাঙা চরিত্রে অভিনয় করে প্রমাণ করে দিয়েছেন তিনি অভিনেত্রী মন্দ নন।
সম্প্রতি তাপসী স্বাকীর করেছেন তিনি একটি সম্পর্কে রয়েছেন। একইসঙ্গে জানিয়েছেন, তাঁর বয়ফ্রেন্ড কোনও ক্রিকেটার বা অভিনেতা কোনওটাই নন। তাপসী বিয়ে প্রসঙ্গে বলেছেন, আমি বিবাহিত নই। তবে যাঁরা এগুলো নিয়ে গসিপ কলাম লিখতে চান তাঁদের এ নিয়ে খুবই উৎসাহ রয়েছে। তবে আমার জীবনে যে রয়েছেন তিনি কোনও ক্রিকেটার বা অভিনেতা নন। এমনকী ও এখানকারই নয়।
আমার জীবনে একজন বিশেষ মানুষ রয়েছেন। কিন্তু সব সময় তা নিয়েই খবর হবে তা আমি কখনও চাই না। শুধুমাত্র মুচমুচে গসিপের জন্য এ বিষয়ে আমি কথা বলব এমনটা তো হতে পারে না। অভিনেতা হিসেবে নিজেকে অনেক কষ্ট করে গড়ে তুলেছি। লোকে আমায় অভিনয়ের জন্যই চিনেছে। সেটা তো এ ভাবে বিসর্জন দিয়ে দিতে পারি না আমি।
প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে বাবা-মা বা পরিবারের অন্য সদস্যরা জানেন। শুধু শুধু বাবা-মায়ের কাছে লুকোতে যাব কেন? আমার কাছে পরিবারের জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
Read More News
প্রেমের সম্পর্কের কথা মেনে নিলেও, কিছুতেই নাম বলেননি তাপসী। প্রতি বারের মতো এ বারেও নিজেই ভালোবাসার মানুষের নাম কায়দায় এড়িয়ে গিয়েছেন অভিনেত্রী। তবে তাঁর প্রেমিক যে অলিম্পিকে রুপোর পদকপ্রাপ্ত ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় মাথিয়াস ব, তা প্রায় কারও কাছেই অজানা নয়।
তাপসী ১৯৮৭ সালের ১ আগস্ট ভারতের নতুন দিল্লির একটি শিখ পরিবারে জন্ম নেন। শাগুন পান্নু নামে তার একটি বোন রয়েছে এবং তাকেও চলচ্চিত্রে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে তাপসীর।
তাপসী একজন সফটওয়্যার পেশাজীবী হিসেবে কাজ করতেন, এবং অভিনেত্রী হবার পূর্বে মডেলিং কর্মজীবনে জড়িত ছিলেন। তার মডেলিং কর্মজীবনে তিনি কিছুসংখ্যক বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন, এবং ২০০৮ সালে “প্যান্টালুন ফেমিনা মিস ফ্রেশ ফেস” ও “সাফি ফেমিনা মিস বিউটিফুল স্কিন” খেতাব লাভ করেন।
মডেলিংয়ে সীমিত ভূমিকা রাখার পর, রাঘবেন্দ্র রাও পরিচালিত ২০১০ সালের ঝুম্মান্ডি নাডাম তেলুগু চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটান তাপসী। এরপর তিনি কয়েকটি চলচ্চিত্রে কাজ করেন যেমন, ২০১১ সালে আদুকালাম, ভাস্তাধু না রাজু এবং মি. পারফেক্ট। তার তামিল আদুকালাম চলচ্চিত্র ৫৮তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে ছয়টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে নেয়।
তিনি ২০১৫ সালে সামালোচকীয় এবং বাণিজ্যিকভাবে সফল বেবি চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন। ২০১৬ সালে তিনি পিংক চলচ্চিত্রে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেন। ২০১৯ সালে ষাণ্ড কি আঁখ জীবনী চলচ্চিত্রে সেপ্টোগেনারিয়ান শার্পশুটার প্রকাশি তোমার চরিত্রে অভিণয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার সমালোচক পুরস্কার পেয়েছিলেন। ২০১৮ সালে ফোর্বস ইন্ডিয়া সেলিব্রিটি ১০০ তালিকায় ৬৮তম স্থানে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।