নির্মাণাধীন ফ্লাইওভার থেকে রড পড়ে শ্রমিকের মৃতু কিছুদিন আগে এভাবেই শিরোনাম হয়েছিল সংবাদ মাধ্যমে। সেই নির্মাণাধীন মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের একটি অংশ আজ খুলে দেয়া হল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ তা উদ্বোধন করেন।
ফ্লাইওভারটির নকশায় ত্রুটি, দুর্ঘটনা ইত্যাদি কারণে এই ফ্লাইওভার নিয়ে ইতোমধ্যেই অনেক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই ফ্লাইওভার যান চলাচল সহজ করার ক্ষেত্রে তা কতটা সহায়ক হবে, এমন প্রশ্নে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বা বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক শামসুল হক আমাদের বলছিলেন হলি ফ্যামিলি থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত যে সেগমেন্ট আছে সেটি ভিআইপি রোডের একটি প্যারালাল করিডর। মাস-দুয়েকের মধ্যে মেট্রোরেল প্রজেক্ট উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে বিকল্প কোন পথ থাকবে না বলে একধরনের উদ্বেগ ছিল। সে কারণেই আমরা চাচ্ছিলাম যেন এই সেগমেন্টটি দ্রুত উদ্বোধন করে দেয়া হয়। এর ফলে মেট্রোরেল প্রকল্প চালু হলে সার্বিকভাবে এই এলাকার চলাচলের সুবিধা হবে।
Read More News
২০০৪ সালে পরিকল্পনা করার পর ২০১৩ সালে এই ফ্লাইওভারের কাজের বাস্তবায়ন শুরু হয়। আর তা সম্পূর্ণ শেষ হয়নি এখনো।
এই ফ্লাইওভার নিয়ে নানারকম বিতর্কের প্রসঙ্গে মিস্টার হক বলেন এখানে একটি হচ্ছে, নকশার ক্ষেত্রে কিছু অবকাঠামোগত ত্রুটি ছিল।সেইসাথে রূপরেখা তৈরির পর সেগুলো আপগ্রেড করা হয়নি। ফলে এতখানি জায়গা জুড়ে পড়ে থাকার পর জনগণকে যতখানি সুবিধা দেওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে, তার থেকে আরও বেশি দেওয়ার সুযোগ ছিল এখানে।
তিনটা ফ্লাইওভারের মাঝে যে সংযোগ র্যাম্প থাকে সেগুলো নেই। এটি এই ফ্লাইওভারের নির্মাণগত যেসব দুর্বলতার কথা বলা হচ্ছে তার মধ্যে একটি বলে তিনি উল্লেখ করেন ।
তবে একটি অংশ খুলে দেওয়ার পর অন্য যে দুটো সেগমেন্ট আছে সেটি খুব একটা বাধাগ্রস্ত হবে না বলে তিনি মনে করেন। ফ্লাইওভারটির নির্মাণ কাজ তিনটি ভাগে সম্পন্ন হচ্ছে। একটিতে রয়েছে সাতরাস্তা-মগবাজার-হলি ফ্যামিলি পর্যন্ত অংশ। আরেকটিতে রয়েছে শান্তিনগর-মালিবাগ-রাজারবাগের অংশ এবং শেষ অংশটি বাংলামটর-মগবাজার-মৌচাক এলাকা।